আবির শেখ: রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম বালিয়া শান্তির মোড় গুচ্ছগ্রামে একযোগে একাধিক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে, এতে পুরো এলাকায় চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। শান্তিপূর্ণ এলাকার এই ঘটনাটি রাত নয়টা থেকে ঘটতে শুরু করে এবং এতে একজন সাংবাদিক মারধরের শিকার হয়েছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক শাকিল আহমেদ জানান, তিনি সাংবাদিকতা পেশায় দীর্ঘদিন কাজ করছেন এবং একটি জাতীয় দৈনিক সম্পর্কে যুক্ত রয়েছেন। তিনি ঘটনার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কিছু ব্যক্তি তাকে ধরে মারধর করেন এবং তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তার মোবাইল ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠকদের নাম রয়েছে। তারা জানান, এলাকার কিছু ব্যক্তি — যার মধ্যে সামায়ন কবীর হেলাল, স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ সদস্য — সহ আরো কয়েকজন — ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলীয় পরিচয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করছে এমন একটি দলের নেতার বাড়িতে বনধ বা রাজনৈতিক সহিংসতা চালায়। তাদের দাবি, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ।
ঘটনার ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং কিছু জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, ফলে স্থানীয়রা আতঙ্কে ভিয়ড়ে নিরাপদ স্থানে রওয়ানা দেয়। উপস্থিত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকায় অবস্থান রাখে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকার পরও আতঙ্কের মধ্যে অনেকেই নিরাপদ দূরত্ব নেন এবং পুলিশের দমন নীতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, “কাশিয়াডাঙ্গায় হামলার সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগ নেই। বিএনপি কখনো সন্ত্রাস বা নৈরাজ্যের রাজনীতি করে না। যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী ও অপরাধী চক্র।” তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দলীয় পরিচয় নয়, অপরাধের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
এতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি বলেন, “মঞ্জুর আলম রেন্টু দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। তার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। নারী ও শিশুর ওপর হামলা এবং সাংবাদিককে মারধর করা সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ দাবি করেছেন।
পেশাগত প্রেক্ষাপট: Transparency International Bangladesh (TIB)-এর একটি প্রতিবেদনের মতে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন আক্রমণ, মামলা, হত্যাচেষ্টা ও হুমকিসহ বাংলাদেশে ১,০৭৩ জন সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ২৫৯টি আক্রমণকেন্দ্রিক ঘটনা রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বা প্রশাসনিক পক্ষের অফিসিয়াল মন্তব্য পাওয়া যায়নি; খবরটি অনুসন্ধান ও সত্যতার যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সাংবাদিক শাকিল আহমেদ জানান, তিনি সাংবাদিকতা পেশায় দীর্ঘদিন কাজ করছেন এবং একটি জাতীয় দৈনিক সম্পর্কে যুক্ত রয়েছেন। তিনি ঘটনার ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কিছু ব্যক্তি তাকে ধরে মারধর করেন এবং তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে তার মোবাইল ফোনটি ফেরত দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সংগঠকদের নাম রয়েছে। তারা জানান, এলাকার কিছু ব্যক্তি — যার মধ্যে সামায়ন কবীর হেলাল, স্থানীয় যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ সদস্য — সহ আরো কয়েকজন — ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলীয় পরিচয়ে ওই এলাকায় অবস্থান করছে এমন একটি দলের নেতার বাড়িতে বনধ বা রাজনৈতিক সহিংসতা চালায়। তাদের দাবি, এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ।
ঘটনার ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং কিছু জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, ফলে স্থানীয়রা আতঙ্কে ভিয়ড়ে নিরাপদ স্থানে রওয়ানা দেয়। উপস্থিত পুলিশ থাকা সত্ত্বেও হামলাকারীরা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকায় অবস্থান রাখে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকার পরও আতঙ্কের মধ্যে অনেকেই নিরাপদ দূরত্ব নেন এবং পুলিশের দমন নীতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজশাহী মহানগর শাখার সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, “কাশিয়াডাঙ্গায় হামলার সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগ নেই। বিএনপি কখনো সন্ত্রাস বা নৈরাজ্যের রাজনীতি করে না। যারা এই হামলা চালিয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী ও অপরাধী চক্র।” তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দলীয় পরিচয় নয়, অপরাধের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানান।
এতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি বলেন, “মঞ্জুর আলম রেন্টু দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। তার বিরুদ্ধে কথা বলার কারণেই পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। নারী ও শিশুর ওপর হামলা এবং সাংবাদিককে মারধর করা সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত, গ্রেপ্তার, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ দাবি করেছেন।
পেশাগত প্রেক্ষাপট: Transparency International Bangladesh (TIB)-এর একটি প্রতিবেদনের মতে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন আক্রমণ, মামলা, হত্যাচেষ্টা ও হুমকিসহ বাংলাদেশে ১,০৭৩ জন সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, যার মধ্যে ২৫৯টি আক্রমণকেন্দ্রিক ঘটনা রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বা প্রশাসনিক পক্ষের অফিসিয়াল মন্তব্য পাওয়া যায়নি; খবরটি অনুসন্ধান ও সত্যতার যাচাইয়ের চেষ্টা চলছে।
মো: আবির শেখ